দেশের সচল ১৩ কোটি সিম পুঃননিবন্ধনের জন্য ছয় মাসের প্রাথমিক সময় দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)। এর মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। এরপরও যদি গ্রাহকরা তাদের সিম পুঃননিবন্ধন না করেন সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে তারা। তাদের মতে, বিপুল সংখ্যক সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ সময়ের কাজ। তাই ছয় মাস পরে সামগ্রিক অবস্থা বোঝা যাবে।
বুধবার বেলা ১২টায় রাজধানীর গুলশানে অ্যামটব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক টি আই এম নুরুল কবির। তিনি বলেন, “অনিবন্ধিত সিম আপাতত বন্ধ হচ্ছে না। আমরা প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের টার্গেট নিয়েছি। এর পরেও যাদের সিমের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া যাবে না, তাদেরকে অবৈধ বলা যাবে না। কারণ, তাদের কেউ কেউ পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়েও নিবন্ধন করে থাকতে পারেন। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার জন্য তাদেরকে আমরা মেসেজের মাধ্যমে জানাবো।”
সংবাদ সম্মেলনে দেশের ছয়টি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বায়োমেট্রিক ডিভাইসের (আঙ্গুলের ছাপ) মধ্য দিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে। পরে সে বায়োমেট্রিক জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া হবে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এ প্রক্রিয়া।
অ্যামটব সম্পাদক বলেন, “বর্তমানে ছয়টি অপারেটরের ১৩ কোটি সিম সচল আছে। আমরা আমাদের সব সম্পদ কাজে লাগিয়ে সিম নিবন্ধনের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো।”
তিনি আরও বলেন, “১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে যতদিন শেষ না হবে ততদিন এই প্রক্রিয়া চলবে। আমরা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছি ছয় মাস সময় লাগবে। এরপর প্রতি মাসে রিভিউ করব। তবে চূড়ান্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দেবে সরকার। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে সেক্ষেত্রে পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়ার জন্য গাইডলাইন পরিবর্তন করতে আমরা বিটিআরসি’র কাছে অনুরোধও করেছি।”
সিমকার্ড পুনঃনিবন্ধনে গ্রাহকদের তথ্য বিভ্রান্তি দূর করতে ও সরকারের সাথে একযাগে কাজ করতে অপারেটরদের উদ্যোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে উল্লেখ করে অ্যামটব মহাসচিব বলেন, “আগামী সপ্তাহে অপারেটরগুলো তাদের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেবে।” এছাড়া ব্যাপক আকারে মিডিয়া কাভারেজ দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।
এর আগেও ২০০৮ সালে একবার সিমকার্ড পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে অপারেটরদের কাছে সে সময় জাতীয় পরিচয়পত্র ডাটাবেজের তথ্য যাচাই করার সুযোগ ছিল না। এজন্য সে উদ্যোগ সফল হয়নি।
নতুন করে নেওয়া সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এ ব্যাপারে অপারেটরগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলে জানায় অ্যামটব।