প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
দুদফায় পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম এসএম মাসুদ জামানের আদালতে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমানকে শফিক রেহমানের সঙ্গে আদালতের হাজতখানায় ১৫ মিনিটের জন্য দেখা করার অনুমতি দেন আদালত।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে শফিক রেহমানকে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ফের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাত। ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রথম দফায় ১৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম ৫ দিনের রিমান্ড প্রদান করেন শফিক রেহমানকে। ওইদিন রাজধানীর ইস্কাটনের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাস-এর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।