ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বেসরকারি আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এইউএসটি) শিক্ষক মাহফুজুর রশীদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজমের আদালতে সোমবার এই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এদিন মামলার বাদী ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদদৌল্লাহ আল সায়েমের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শুরু হয় বলে জানান এ ট্রাইব্যুনালের পেশকার আমজাদ হোসেন।
তিনি বলেন, মামলার বাদীর সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে।
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো ছিলেন মামলার আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত থাকা ফেরদৌস।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করে আসা শিক্ষক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৩০ এপ্রিল তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।
এরপর ৪ মে কলাবাগান থানায় যৌন হয়রানির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদদৌল্লাহ আল সায়েম।
মামলার পর ওইদিন ভোরেই রমনা এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পরে দুই দিনের রিমান্ড শেষে তিনি যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রীও গত ৫ মে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে জবানবন্দি দেন।
২০১৬ সালের ৪ মে রাতে কলাবাগান থানায় শিক্ষক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে মামলা করেন আসাদদৌল্লাহ আল সায়েম। ওই দিনই কলাবাগানের বাসা থেকে ফেরদৌসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।
এর পর গত ১৪ অগাস্ট তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে আলাদা দুইটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের এসআই আফরোজা আইরিন কলি।
২৮ জনকে সাক্ষী করে দেওয়া যৌন হয়রানির অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর শিক্ষক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজম।