ভালোবাসার গল্প

  • আপডেট সময় : ০৬:৫৭:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪ ১৮ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আমার একটা খুব কাছের বড় বোন আছে। সে যখন ইন্টারমিডিয়েট ই পড়াশোনা করছিলো। মেয়ে সুন্দর, চঞ্চল প্রকৃতির ছিল। আপুটির সাথে একটা ছেলের প্রেম হয়। তাঁদের সম্পর্ক অনেক গভীরে চলে যাই। ছেলেটা সিম্পল একটা দোকানে চাকরি করতো। যখন আপুটার জন্য বাসায় বিয়ের প্রপোজাল আসতে থাকে তখন ছেলেটা আপুকে নিয়ে পালাই বিয়ে করে। অনেক বছর আপুর পরিবারের মেনে নে নি। যখন আপুর একটা মেয়ে হয় তখন আপুর পরিবার মেনে নিয়েছিল। হটাৎ করে আপুর হাসবেন্ড আপুর ওপর কারণে অকারণে গাইয়ে হাত তুলতো! আপুর হাসবেন্ড আজেবাজে নেশা করতো। আপু মানা করলে তাকে বাজে ধরণের বোকা দিতো তার হাসবেন্ড। কিন্তু আপুর হাসবেন্ডকে দেখলে মনে হতো অনেক ভদ্র। আপুর ভরনপোষণ ও ঠিক মতো দিতো না। তাই আপু বাধ্য হয়ে গার্মেন্টস ই চাকরি করতো। আপু চাকরি করে যে টাকা পেতো মাস শেষে সে টাকা তার হাসবেন্ড নিয়ে নিতো। আপু তাও ধর্য্য ধরে অনেক বছর সংসার করে। আপু টেলার্স এ কাজ করতো তার অবসর সময়। এভাবে আপুর দিন কাটছিল। আপুর হাসবেন্ড তাও কান্ত হতো না। প্রতিদিন আপুকে অত্যাচার করে। আপুর মেয়ে ও তার বাবাকে ঘৃণা করতে শুরু করে। অনেক কষ্ট করে আপু তার হাসবেন্ডকে ডিভোর্স দিয়েছিল। গার্মেন্টস ই চাকরি করে আপুর তার মেয়ের ভরণপুষণ চালাতো। তখন আপুর মেয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। আপু বাপের বাড়িতে থেকে দিন যাচ্ছে আর চাকরি করছে।
আপু ফেইসবুক চালাতো, একদিন সে তার মেয়েকে নিয়ে ছবি আপলোড দিছিলো। তখন তার ফেইসবুক ফ্রেন্ড একটি ছেলে আপুকে খুব পছন্দ করে। এরপর তাঁদের মধ্যে পরিচয় হয়। ছেলেটা আপুকে তার মনের কথা সব বলে, আপু তখন তার অতীত এর কথা সব বলে, তার ছোট্ট একটা মেয়ে আছে সব বলে,, ছেলেটা সব জেনে অবাক হয়। এরপর অনেক দিন কথা হয় নি তাঁদের। হটাৎ একদিন ছেলেটা আপুকে বলে তোমার অতীত যেমন হোক আমি তোমাকে ভালোবাসি, আমার তোমাকে লাগবে। আপু ছেলেটাকে অনেক বুঝায় আপনি অবিবাহিত, দেখতে ভালো আমার চাইতে অনেক ভালো মেয়ে পাবেন। তাও ছেলেটা কিছু বুঝতে চাই না। আপুর সাথে প্রতিদিন কথা হতো, ছেলেটা বিদেশ থাকতো। প্রায় একবছর হয়ে যাই তাঁদের কথা হয়, প্রেম ও হয়। এর পর ছেলে আসে দেশে তাঁদের দেখা হয়, ছেলে আপুর পরিবারের সাথে কথা বলে। ছেলে রাজি ছিল আপুকে বিয়ে করবে। ঠিক ছেলেটা আপুকে সামাজিক ভাবে বিয়ে করে এক মাস হল।আপুর মেয়ে এখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। আপুর ২য় হাসবেন্ডকে বাবা ডাকে, সেও তাকে মেয়ের মতো দেখে 🌺।
তাই যে ভালোবাসবে সে তোমার হাজার অতীত থাকুক তাও সে তোমাকে অনেক ভালোবাসবে “❣️

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Categories

ভালোবাসার গল্প

আপডেট সময় : ০৬:৫৭:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

আমার একটা খুব কাছের বড় বোন আছে। সে যখন ইন্টারমিডিয়েট ই পড়াশোনা করছিলো। মেয়ে সুন্দর, চঞ্চল প্রকৃতির ছিল। আপুটির সাথে একটা ছেলের প্রেম হয়। তাঁদের সম্পর্ক অনেক গভীরে চলে যাই। ছেলেটা সিম্পল একটা দোকানে চাকরি করতো। যখন আপুটার জন্য বাসায় বিয়ের প্রপোজাল আসতে থাকে তখন ছেলেটা আপুকে নিয়ে পালাই বিয়ে করে। অনেক বছর আপুর পরিবারের মেনে নে নি। যখন আপুর একটা মেয়ে হয় তখন আপুর পরিবার মেনে নিয়েছিল। হটাৎ করে আপুর হাসবেন্ড আপুর ওপর কারণে অকারণে গাইয়ে হাত তুলতো! আপুর হাসবেন্ড আজেবাজে নেশা করতো। আপু মানা করলে তাকে বাজে ধরণের বোকা দিতো তার হাসবেন্ড। কিন্তু আপুর হাসবেন্ডকে দেখলে মনে হতো অনেক ভদ্র। আপুর ভরনপোষণ ও ঠিক মতো দিতো না। তাই আপু বাধ্য হয়ে গার্মেন্টস ই চাকরি করতো। আপু চাকরি করে যে টাকা পেতো মাস শেষে সে টাকা তার হাসবেন্ড নিয়ে নিতো। আপু তাও ধর্য্য ধরে অনেক বছর সংসার করে। আপু টেলার্স এ কাজ করতো তার অবসর সময়। এভাবে আপুর দিন কাটছিল। আপুর হাসবেন্ড তাও কান্ত হতো না। প্রতিদিন আপুকে অত্যাচার করে। আপুর মেয়ে ও তার বাবাকে ঘৃণা করতে শুরু করে। অনেক কষ্ট করে আপু তার হাসবেন্ডকে ডিভোর্স দিয়েছিল। গার্মেন্টস ই চাকরি করে আপুর তার মেয়ের ভরণপুষণ চালাতো। তখন আপুর মেয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। আপু বাপের বাড়িতে থেকে দিন যাচ্ছে আর চাকরি করছে।
আপু ফেইসবুক চালাতো, একদিন সে তার মেয়েকে নিয়ে ছবি আপলোড দিছিলো। তখন তার ফেইসবুক ফ্রেন্ড একটি ছেলে আপুকে খুব পছন্দ করে। এরপর তাঁদের মধ্যে পরিচয় হয়। ছেলেটা আপুকে তার মনের কথা সব বলে, আপু তখন তার অতীত এর কথা সব বলে, তার ছোট্ট একটা মেয়ে আছে সব বলে,, ছেলেটা সব জেনে অবাক হয়। এরপর অনেক দিন কথা হয় নি তাঁদের। হটাৎ একদিন ছেলেটা আপুকে বলে তোমার অতীত যেমন হোক আমি তোমাকে ভালোবাসি, আমার তোমাকে লাগবে। আপু ছেলেটাকে অনেক বুঝায় আপনি অবিবাহিত, দেখতে ভালো আমার চাইতে অনেক ভালো মেয়ে পাবেন। তাও ছেলেটা কিছু বুঝতে চাই না। আপুর সাথে প্রতিদিন কথা হতো, ছেলেটা বিদেশ থাকতো। প্রায় একবছর হয়ে যাই তাঁদের কথা হয়, প্রেম ও হয়। এর পর ছেলে আসে দেশে তাঁদের দেখা হয়, ছেলে আপুর পরিবারের সাথে কথা বলে। ছেলে রাজি ছিল আপুকে বিয়ে করবে। ঠিক ছেলেটা আপুকে সামাজিক ভাবে বিয়ে করে এক মাস হল।আপুর মেয়ে এখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। আপুর ২য় হাসবেন্ডকে বাবা ডাকে, সেও তাকে মেয়ের মতো দেখে 🌺।
তাই যে ভালোবাসবে সে তোমার হাজার অতীত থাকুক তাও সে তোমাকে অনেক ভালোবাসবে “❣️