সংবাদ শিরোনাম ::
প্রচ্ছদ /
অন্যান্য, আন্তর্জাতিক, আফ্রিকা, ইউরোপ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, ইসলামিক গল্প, খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, নাটক, বিনোদন, ভ্রমণ, মধ্যপ্রাচ্য, লাইফস্টাইল, শিক্ষা, শিল্প-সাহিত্য, সারাদেশ, সাহিত্য, সিনেমা
দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা
- আপডেট সময় : ০৬:১৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪ ১২ বার পড়া হয়েছে
- আউউউউউউ_উফফফ ওই
কুত্তী লাগছে তো। আস্তে অসুধ
লাগা না?. (আমি) - ওই বাঁদর চুপ!একদম চুপ কোনো
কথা বলবি না? মারামারি করার
সময় খুব ভালো লাগছিলো তাই
না এখন কেনো চিল্লাচ্ছিস?
(আপু) - ও মাআয়ায়ায়া, গেলাম রে গেলাম!
ওই তোকে বলছি না আস্তে অসুধ
লাগা তারপর ও কেনো…. ? - ওই আর একটা বার যদি এমন
বাঁদর. . . মার্কা চিল্লান দিবি তো
তোর কাটা কাটা জায়গা গুলোতে
লবন লাগিয়ে দিবো? - ওই কুত্তী লবন লাগাবি মানে??
মরে জাবো তো…..? - আচ্ছা তুই কি কখনও ভালো
হবি না….? - কেনো আমি কি খারাপ নাকি…?
- তোর মারামারি করার কি দরকার
ছিলো? যদি কিছু হয়ে যেতো…? - হয়ে যেতো মানে?? আমার আবার
কি হবে..? - তুই আর কখনো যদি এমন ভাবে
মারামারি করিস তাহলে তোকে বাসা
থেকেইই বের করে দিবো….? - এ কুত্তী বাসা কি তোর একার নাকি?
আমারো আধা ভাগ আছে হুহহহ..? - অসুধ লাগা শেষ একদম উঠবি
না বলে দিলাম। এমন ভাবে থাক আমি
রান্না শেষ করে আসছি। - বলেই চলে গেলো। আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই আমি হচ্ছি মৃনাল। শয়তান
আর ফাজিলের ডিব্বা।কিচুক্ষন আগে যার সাথে কথা বল্লাম
সে হচ্ছে আমার আপু।আমি আর আপু
একা থাকি। বাবা – মা নেই অনেক আগে
চলে গেছেন। তাই আপু ই আমার কাছে
সব কিছু। আজ কিছু ছেলেদের সাথে
মারামারি করে গায়ে আঘাত পাইছি
আর তারপর বাসায় এসে আপু অসুধ
লাগিয়ে দিলো। আর দেখলেনই তো
কেমন চিল্লানি দিছিলাম। ইসসস
এখন ও ব্যাথা করছে কেনো যে
মারামারি করতে গেলাম। আবার
আপুর আগমন হাতে খাবারের প্লেট। - এই বাঁদর নে ধর হা কর..?
তোকে কতবার বলি ভাই মারামারি
করিস না ফাজলামি টা একটু বন্ধ
কর। আমার কথা কি তোর কানে
লাগে….?
- কুত্তী খাইয়ে দিচ্ছিস দে..? এতো
প্যাচাল পারিস ক্যান খাওয়ার সময়? - আচ্ছা তুই কি এখন ও ছোট আসিছ
বলতো যে তোকে এখন ও প্রতিদিন
খাইয়ে দিতে লাগে। নিজে খেতে
পারিস না….? - আমি খাচ্ছি না তো কি তুই খাচ্ছিস
নাকি। আমিইই তো নিজে খাচ্ছি
তুই শুধু খাইয়ে দিচ্ছিস…! - আচ্ছা আমি যদি না থাকি তাহলে
কি তুই খাবি না? - না থাকি মানে? তুই আবার কই
যাবি?? - এমনি বল্লাম নে ধর হা কর তারাতারি
খেয়ে নে আমার অনেক কাজ আছে। - তারপর খেয়ে নিলাম। আপু চলে
গেলো আমার রুম থেকে। আর আমিও
শুয়ে পরলাম। রাত ২ টা বাজে কিন্তু ঘুম
আসতেছেনা। তাই আপু কে চিতাকার
করে ডাক দিলাম আপু তার রুম থেকে
বের হয়ে আসল…. - এমন ভাবে চিল্লাচ্ছিস কেনো? আর এতো রাত হয়েছে এখন ও ঘুমাস নি?
- ঘুম আসতেছেনা তো…?
- হ্যা রে খুব লেগেছে তাই না। তোকে
এতবার বারন করি তাও এমন করিস
ক্যানো? - হুম অনেক লেগেছে এখন ও ব্যাথা
করছে। - আচ্ছা আমার কোলে মাথা রাখ
আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি?
তারপর আপু আমার মাথায় হাত
দিচ্ছে। কখন যে ঘুমিয়ে গেছি টের
ই পাইনি। তাই সকালে আপুর ডাকে
ঘুম ভাংলো। - ওই বাঁদর উঠ নয় টা বাজে। আমি
অফিস জাবো আমার সময় হয়ে গেছে? - ওই আজ অফিস না গেলে হয় না?
- অফিস জেতে হবে… । নে উঠে ফ্রেস হয়ে আয় আমি নাস্তা খাইয়ে দিয়ে চলে জাবো!
-আচ্ছা তুই যা আমি খেয়ে নিবো…? - খেয়ে নিবি মানে? যা বলছি তাই কর??
- আচ্ছা আচ্ছা আচ্ছা….!
তারপর আপু আমাকে খাইয়ে দিয়ে অফিস চলে গেলো। আমি জানি আপু আমার জন্য অনেক কস্ট করে।
কিন্তু ভাই আমি আপুর কোন কথাই
শুনি না। যেটা বলবে ঠিক তার উল্টো
টা করে বসব। - কি ব্যাপার আজ এতো তারাতারি
অফিস থেকে আসলি যে? - ডাক্তারের কাছে জাবো চল?
- কিন্তু কেনো? সেদিনই তো আসলাম
ডাক্তার কে দেখিয়ে? - এতো বুঝিস কেনো। চুপচাপ চল.. ?
- আরে প্রতি মাস মাস কি ডাক্তারের
কাছে যেতে হবে। আমি কি মরে জাবো
নাকি? - এই ভাই থাম না প্লিজ…?
- কিরে আপু কাঁদছিস কেনো? সরি……
তুই যা বলবি তাই করব.. !
তারপর আপুর সাথে চলে গেলাম
আর কিছুক্ষন ঘুরে বাসায় ফিরে
আসলাম। তারপর বাসায় এসে
একটু পড়তে বসলাম কিন্তু পড়তে
ইচ্ছে করছে না। কি করি কিছুই
ভালো লাগছে না। হুম পাইছি জাই
একটু আপু কে জ্বালিয়ে আসি। - ওইই কুত্তী কি করিস…?
- বাঁদর দেখছিস না রান্না করছি..?
- ও আমিতো ভাবলাম তুই রান্না
ঘরে ঘুমাচ্ছিস। - এখানে আসলি ক্যান? তোর পড়া
আছে না যা পড়া কর…? - আচ্ছা ওই বেগুন ভাজি টা দে তো..?
- উফফফফ,, দেখতে পাচ্ছিস না ওটা
এখন ও ভাজতেছি আর গরম আছে
তো….? - থাকুক গরম তুই দে আমি খাব….?
- তুই যাবি এখান থেকে না মাইর খাবি..?
- আরে বল্লেই তো হয় যে দিবো না
এতো প্যাচাল পারার কি আছে…? - ওই বাদর দাড়া। নে ধর এবার মন
শান্তি…? - হুম দিব্বি শান্তি…!
তারপর বেগুন ভাজি মুখে দিয়েই আউউউউউ করে দিতকার করে
উঠলাম…। ওরে বাবারে কি গরম
মুখ পুরে গেছে মনে হয়। - আগেই বল্লাম যে গরম আছে
আমার কোন কথাই তো গায়ে
লাগাস না। এবার বুঝ ঠ্যালা..?
তারপরের দিন…………???? - দেখুন আপনার ভাইকে সামলান
এভাবে চলতে দেওয়া জায় না..? (কলেজের প্রিন্সিপাল) - ক্যানো আবার কি করল….? (আপু)
- আপনার ভাই নামটা কি যেনো.. মৃনাল .?
- মৃনাল কি করেছে…?
- ও আমাদের কলেজের ম্যাডাম রে প্রোপোজ করেছে…!
- কিইইইইইইইই….?
- হ্যা আমিই ঠিকই বলছি। বিশ্বাস না
হলে আপনার ভাই কে জিজ্ঞেস করুন? - স্যার ও ছোট ছেলে না বুঝে করে ফেলেছে। আর একটা চান্স দিন না…?
- এই নিয়ে ২২ বার চান্স দেওয়া হলো।
আর কতবার চান্স দিবো বলুন? - স্যার প্লিজ…?
- আচ্ছা ঠিক আছে আর একটা দিলাম।
বাট এটাই কিন্তু শেষ জদি আর কোন
এরকম কাজ করে তাহলে আমাদের
কলেজে আপনার সুনাম ধন্য ভাইকে
রাখতে পারব না…। - এই খাইছে রে। আজ মনে হয় একটু
বেশিইই হয়ে গেছে। আসলে ম্যাডাম কে
দেখে ক্রাস খাইছি তাই প্রোপোজ করেছি।
কিন্তু প্রিন্সিপাল যে ভাবে বল্ল। এটাই নাকি
শেষ। আপু তো রেগে রেগে আগুন হয়ে
গেছে।কি করবে তাই কে জানে। - আচ্ছা তুই কি কখনো ভালো হবি না..?(আপু)
- আপু ম্যাডাম টা না অনেক কিউট রে.. (আমি)
- চুপ একদম চুপ…..? বাঁদর কোথাকার
আদর পেয়ে পেয়ে দিন দিন আরো
শয়তান হয়ে জাচ্ছিসস তুই…?
আর কাউকে খুজে পেলি না
ম্যাডামকেই প্রোপোজ করতে হবে.? - এ এর আগে তো….শিলা,টিলা, টুনি,
ময়না, দিয়া, রিয়া,পিপাসা, মিস্টি, শিউলি,
তিতলি……. মোট৫০-৬০টা মেয়েকে
প্রোপোজ করেছি কেউইইই তো এক্সেপ্ট
করেনাই তাই ম্যাডাম কে….! - থাপ্পর দিয়ে দাঁত ফেলে দিবো বাঁদর।
তুই কি রে আমার তো ভাবতেও অবাক
লাগছে…? তুই এর আগেও মোট
২২ বার কলেজে এমন কাজ করেছিস
শেষে আমি গিয়ে সমাধান করছি। - আসলে আপু হয়েছে টা কি জানো..
সুন্দরী মেয়েদের দেখলে আমি ঠিক
থাকতে পারি না……? - তোর আজ থেকে বারির বাইরে
জাওয়া নিশেধ। আমি যখন অফিস
জাবো তখন গেটে তালা মেরে জাবো। - এই না না না প্লিজ এমন কাজ
করো না। - কোন লাভ নেই। তা না হলে তুই সোজা
হবি না…! - তাই বলে ঘরে আটকে রাখবে…?
আপুউউ কই জাস আমার কথাটা
তো শুন। ধুরর কিচ্ছু ভালো লাগছে
না। কাল থেকে ঘরে বন্দি হয়ে থাকতে
হবে..। আচ্ছা ভাই তোরাই বলেন
কলেজে পড়ি এখন ও কোন গফ নাই
কেমন লাগে। আমার কি ইচ্ছে করে না
প্রেম করতে। গফের সাথে ফুসকা, চটপটি
খেতে। কিন্তু হালার আমার এক কপাল
ভাগ্য একটাও কপালে জুটে না। সব
গুলাই রিয়েক্ট করে দেয়। জদি বলি
আমার দোস কি তখন বলে এর
আগেএএএ অনেক মেয়েকে প্রোপোজ
করছি তাই…! আরে প্রোপোজই তো
করছি কিন্তু রিলেশন তো আর করি
নাই। ধুর এসব বাদ। আপু অনেক
কস্ট পেয়েছে দেখি ঘরে গিয়ে কি
করছে। এ কি আপু তো ঘরে বসে
কাঁদছে। না কাজ টা মোটেও ঠিক
করিনি। আমি সোজা গিয়ে আপুকে
জরিয়ে ধরলাম…. - সরি…….? (আমি)
- ছাড় আমাকে… _? (আপু)
- সরি তো……!
- আচ্ছা তুই কবে বুঝবি বল?
তোকে এত্তবার বারন করি তাও
এমন করিস ক্যানো…? - আর কক্কখনো এমন কাজ করব না।
ওই মাফ করে দে না….? - আচ্ছা আমি জদি না থাকি তাহলে
তুই এমন করবি…? - না থাকি মানে..? তুই কোথথাও জাবি
না আমাকে ছেড়ে। আমি মরেই জাবো।
আমাকে কথা দে তুই কোথথাও জাবি না
আমাকে ছেড়ে..? এই যে কান ধরছি
আর এমন করব না…! - হুম কোথথাও জাবো না…?
- লাভ ইউ লাভ ইউ লাভ ইউ, উম্মমাহ, ..! আবার জরিয়ে ধরলাম আপুকে..!
- আমায় কতটুকু ভালোবাসিস…?
- এহহহ, তোর মত কুত্তী কে আমিইই
কোন দুঃখে ভালোবাসতে জাবো হুম। - এই বলনা কতটা ভালোবাসিস…?
- কতবার বলব হুহহহ। বল্লাম তো
ভালোবাসি না,,। - যা ভাগ বাদর…?
- তুই ভাগ কুত্তী……?
হুম যাচ্ছি যাচ্ছি বলেই আমার রুমে
চলে আসলাম। আর তার কিচুক্ষন
পর আপু আমার রুমে চলে আসলো - ওই কুত্তী আমার রুমে আসলি কেনো?
যা ভাগ তোর রুমে যা…? (আমি)
-……….. _? (আপু) - কিরে চোখ গুলো এমন রসগোল্লার মত
করে আছিস ক্যানো..? কথা বল..? - আমার ব্যাগের টাকা বের করেছিস ক্যানো..?
- এ মা রাম রাম…। তোর ব্যাগের টাকা
বের করেছি মানে? কি আজে বাজে
বলিস এসব। তোর ব্যাগ কোথায় রাখিস
সেটাই তো জানিনা আর টাকা বের করব
কিভাবে…! - আমি আজ বেতন পাইছি ২৮ হাজার টাকা আর এখন দেখছি ব্যাগে ২৫
হাজার টাকা ৩ হাজার কই গেলো…? - ভাবছি তুই কবে পাগল হলি..?
- মানে…?
- নিজে ভুল ভাল ভাবে টাকা গুনে এখন
আমাকে দোস দেওয়া হচ্ছে।। - হায় ভগবান এই বাঁদর টাকে আর ভালো
করতে পারলাম না আমি…! টাকা নিছিস
ভালো কথা স্বীকার করলে কি হয়। আমি
কি টাকা তোর কাছ থেকে নিবো নাকি?? - হইছে হইছে এখন যা খাবার নিয়ে আয়
খুব ক্ষুদা পাইছে..? - তারপর খাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পরলাম। আর ভাবতেছি টাকা টা বলে
বের করা ভালো ছিলো। আপুর সব
টাকা নিয়ে নিলেও কিছু বলত না
চুরি করাটা ঠিক হয়নি। আমি জানি
আপু আমার ফাজলামির জন্য এসব
কথা বলে কিন্তু আমি নিজেকে কনট্রোল
করতে পারি না। কোথা থেকে দুস্টুমি ভর
করে মাথায় তা উপরওলাই জানেন।
দুই দিন পর দেখছি আপু। আয়নায় সাজু
গুজু করছে ব্যাপার টা কি? কোথায় জায়
আমিতো জানি আপুর কোনো বিএফ নাই
যে তার সাথে দেখা করতে জাবে..! - কিরে এত্ত সাজুগুজু করে কার সাথে দেখা করতে জাস হুহহ কেউ আছে নাকি..?
- হ্যা আছে তাতে কি?
- ভালো খুব ভালো। তো ছেলেটা করে
কি..? জুতা চুরির ব্যাবসা না, কটকটির
ব্যাবসা..?
-হিহিহিহি…. শয়তান তুই কি কখনও
ভালো হবি না..! - কিরে হাসিস ক্যানো। আমি কি ভুল
কিছু বলছি নাকি,,, ও মনে হয় মুরগী
চুরি করে তাই না….? - চুপ, যা রেডি হয়ে নে?
- কেনো আমি গিয়ে কি করব?
- যেটা বলছি কর গিয়ে।
- আচ্ছা একটা কথা তোর কেউ নাই
তো… ? - উফফফফ জানিস তো নেই এতো
প্যাচাল পারিস কিল্লাই। - ওও আর একটা কথা..?
- কি বল?
- ওই যে আটা ময়দা গুলো একটু কম
করে মাখ। - কেনো?
- কারন তুই এমনিতেই অনেক সুন্দর
আবার আটা ময়দা মাখিস। বিয়ে হয়ে
জাবে তো… আর আমি তোরে হারাতে
চাই না। তুই কাল থেকে কালি মাখবি
তাইলে কেউ পছন্দ করবে না…? - বাদর তোর বাদরামি বন্ধ হবে না।
যা বলছি…?
তারপর বিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম ও
এখন বুঝতেছি কেনো এতো সাজু গুজু
বিয়ে বারিতে অনেক গুলা কিউট সুইট
মাইয়া আইছে আর তাগো দেইখা
আমার পরান টা কেমন জানি করতেছে - আপুউউউউ ওই আপুউউউ (আমি)
- কি হলো কি? (আপু)
- ওই যে দেখো মেয়েটা কি কিউট..।
- ভাই প্লিজ আজ একটু ভালো করে
থাক। বিয়ে বারিতে কিছু উল্টা পাল্টা
করিস না।
- আচ্ছা কিচ্ছু করব না..!
আবার কিছুক্ষন পর.. - আপুউউউউউ
- আবার কি হলো…?
- আপু দেখ না ওই মেয়েটা শাড়ি পড়েছে
নাভি টা দেখা জাচ্ছে কি সুইট..! - বাদর থাপ্পর মেরে দাত ফেলে দিবো।
আর একবার জদি কিছু বলিস তাইলে
এখনই বিয়ে বারি থেকে চলে জাবো..?
ভাই তারপর আর কিচ্ছু বলি নাই শুধু
দেখছি হিহিহি…! ওখান থেকে ভালো ভাবেই
চলে আসলাম আর কিছুদিন পর হঠাত
মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম। চোখ খুলে দেখি
আমি হাসপাতালে…? আপু আমার বেডের
কাছে বসে আছে আর কাদতেছে..? - আপু আমার কি হয়েছে?
-…………? - ওই চুপ করে আছিস কেনো কথা বল?
- না ভাই তোর কিচ্ছু হয়নি।
- তাহলে এমন ভাবে কাদতেছিস ক্যানো?
- বোকা এমনি চোখে জল চলে এসেছে।
এর আগে এমন হয়নি তো তাই…? - এই পাগল তুই কাদতেছিস কেনো?
- আমার কি হয়েছে আপু প্লিজ বল…?
- এই বোকা বল্লাম তো কিচ্ছু হয়নি। দুইদিনের মাঝেই ঠিক হয়ে জাবে সবকিছু।
- আপু আমায় ছেড়ে জাবি না তো…?
- জাবো না…!
তারপর আপু আমার কাছে আরো ১
ঘন্টা থাকার পর।ডাক্তার ডাকলো আর
আপু চলে গেলো। আমার অপারেশন
হলো। দুইদিন পর আমি সুস্ত হয়ে গেলাম
কিন্তু আপু কে দেখতে পাচ্ছি না। ডাক্তার কে বল্লাম আমার আপু কোথায় ডাক্তার
বলল তোমার আপু বাসায় চলে গেছে। তুমি সুস্ত হলে তোমায় জেতে বলেছে । চলো তোমাকে নিয়ে জাই…?
বাসায় এসে দেখলাম আপু ঘুমাচ্ছে তাই আমি আপুকে ডাকছি ….?.. - আপু, এই আপুউউউ, ওঠ না। আপু ওঠ না প্লিজ। দেখ আমি এসে গেছি। (আমি)
-…………….. (আপু) - কি রে চোখ খুলছিস না কেনো। দেখ
আমি এসেছি…?
-…….? - ডাক্তার আমার আপু উঠছে না ক্যানো?
কি হয়েছে আমার আপুর… ? - তোমার আপু……!
- কি হয়েছে আমার আপুর.?
- তোমার আপু আর এইই দুনিয়ায় নেই। তার দুটো কিডনি দিয়ে তোমায় বাচিয়েছে।তোমার কিডনি নস্ট হয়েছিলো…!
আমি ডাক্তারের এই কথা শুনে বিশ্বাস করতে পারছি না তাই জোরে চিতকার দিয়ে উঠলাম… - আপু এই আপু উঠ না প্লিজ। দেখ আমি
এসেছি। তুই আমায় বলেছিলি আমায় ছেড়ে কোথথাও জাবি না। তাহলে এখন কেনো উঠছিস না। - এই আপু তুই না আমার কান্না সহ্য করতে পারিস না। দেখ আমি কাদতেছি
ওঠ না রে। এই বাদর টা তোকে ডাকছে
তুই সারা দিচ্ছিস না কেনো? - বাবা যা হওয়ার তা হয়ে গেছে তুমি এমনিতেই অসুস্ত আর কেদো না। সব ঠিক হয়ে জাবো। (পাশের বাসার আন্ট)
- না না না কিচ্ছু ঠিক হবে না কিচ্ছু না। এই কুত্তী আমায় বলছিলো যে আমায় ছেড়ে কোথথাও জাবে না। আমি মানি না আমাকে এভাবে ফেলে জেতে তুই পারিস না। আমি কার সাথথে ঝগড়া করব বল।
- আমি আপুকে জরিয়ে ধরে বলছি। ওই ওঠ না। আমি আর কোন দুস্টুমি করব না আপু। আর কোন ফাজলামি ও করব করব না। তুই জা বলবি তাই করব আপু
তোর ব্যাগ থেকে না বলে টাকা বের করব না। আমাকে কে এখন খাইয়ে দিবে
বল। তোর হাতে ছাড়া আমি একবেলাও তো খাইনা এখনকি হবে আমার।
আপু তুই না সেদিন বলেছিলি আমায় কতোটা ভালোবাসিস। আজ বলছি
আমি তোকে অনেক অনেক অনেক ভালোবাসি রে আপু অনেক। এই তুই বলেছিলি তুই জখন কাদবি তখন আমার চোখের জল মুছে দিবি। ওঠ না দেখ আমি
কাদতেছি আমার চোখের জল মুছে দে না। এই দেখ তোকে ছুয়ে দিব্বি দিচ্ছি আমি আর কোন রকম ফাজলামি করব না। তুই শুধু একটি বার আমায় বাদর বলে ডাক। ওই ডাক না আপু ডাক না।
ওঠ না রে ওঠ না। আমার সাথে কথা বল না প্লিজ। আপুউউউউউউউউউ……
-এই চিঠি টা তোমার আপু দিতে বলেছে তোমায়..? (আন্টি)
চিঠিতে লেখা
…
ওই বাদর কি হয়েছে তোর? এমন ভাবে
কাদতেছিস কেনো? ওই তুই কাদবি
না। না না না এমদম কাদবি না। আমি তোকে অনেক ভালোবাসি রে । তাই
তুই চলে জাবি সেটা মানতে পারিনি। আমি জানি তুই ও আমায় অনেক ভালোবাসিস।
আর আমার বিশ্বাস তুই এখন ভালো হয়ে জাবি। আর দুস্টুমি করবি না। তুই ভালো থাকিস…..
ইতি
তোর কুত্তী…
সমাপ্ত <<
Note: সত্ত্যিকারের ভালোবাসা তো এটাই
এই ভালোবাসায় নেই কোনো Sartho।
,
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা এই গল্পটা যারা পরেছেন তাদের সবার ভিতরের অনুভুতি টা প্রকাশ করবেন।